ওয়েব ডিজাইনের ধারণা:

ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ধারণা লাভ করার জন্য প্রথমেই ওয়েব পেইজ, ওয়েব সাইট, ওয়েব পোর্টাল, আইপি এড্রেস এবং ওয়েব ব্রাউজার ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।

 ওয়েবপেইজ:

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দেখার জন্য বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা ফাইলকে ওয়েবপেইজ বলে।
যেমন: https://www.shikhtethakun.com/2021/08/html-preview.html

 ওয়েবপেইজের বিষয়বস্তু:

একটি ওয়েব পেইজ Text, Picture, Mp3, Mp4, PDF, PPT ও আরো নানান ফরম্যাটের ফাইল সমন্বয়ে গঠিত হয়। আর এই পেইজ বানানো হয় HTML, CSS, JS, PHP দিয়ে।

 ওয়েবসাইট:

এক বা একাধিক ওয়েবপেইজ যেখানে সংরক্ষণ করা হয় তাকে ওয়েবসাইট বলে।

 ওয়েব পোর্টাল:

ওয়েব পোর্টাল হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে বিভিন্ন লিঙ্ক, কনটেন্ট ও সার্ভিস বা সেবার সংগ্রহ যা ব্যবহারকারীকে তথ্য জানানোর জন্য সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়। যেমন:
https://bangladesh.gov.bd

আইপি অ্যাড্রেস: IP Address: Internet Protocol Address.

ইন্টারনেটে যুক্ত প্রতিটি যন্ত্র (কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ) ইত্যাদির একটি নিজস্ব ঠিকানা থাকে। এই ঠিকানাকে আইপি এড্রেস বলে। যেমনঃ ১৯২.১৬৮.০.১ 
আইপি অ্যাড্রেস এর দুটি ভার্সন রয়েছে:

  • IPV4 (2^32) যা ডেসিমেল সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা হয়
  • IPV6 (2^128) যা হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা হয়
  •  ডোমেইন নেইম:

    ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেটে উপস্থিতি কিংবা তথ্য আদান-প্রদান করার জন্য একটি অদ্বিতীয় ঠিকানা প্রয়োজন যা ডোমেইন নেইম হিসেবে পরিচিত। 

    ডোমেইন দুই ধরণের। যথা-
    ১. Generic Domain
  • .com (Commercial organization)
  • .edu (Educational Institution)
  • .gov (Government)
  • .org (Nonprofit organization)
  • ২. Country Domain
  • .bd (Bangladesh)
  • .in (India)
  • .au (Australia)
  • .ca (Canada) 
  • ওয়েব অ্যাড্রেস:

    প্রতিটি ওয়েবসাইটের একটি সুনির্দিষ্ট ও অদ্বিতীয় ঠিকানা রয়েছে যার সাহায্যে ইন্টারনেটে সংযুক্ত থেকে যেকোন জায়গা থেকে ওই ওয়েবসাইটের পেইজগুলোকে ওয়েব ব্রাউজারে দেখা বা খুঁজে বের করা যায়; সেই ঠিকানাকে ওয়েব অ্যাড্রেস বলে।
    https://www.shikhtethakun.com/2021/09/HSC-ICT-Note-Chapter-4.html

     ওয়েব ব্রাউজার:

    যে সফটওয়্যার ইন্টারনেটের ইন্টারফেস বা web page (world wide web) -www প্রদর্শনের কাজ করে তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলে।
    Google Chrome, Microsoft Internet Explorer, Mozilla Firefox, Apple's Safari, Opera etc

     সার্চ ইঞ্জিন:

    Google, Yahoo, Bing, পিপীলিকা ইত্যাদি
    সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে?

     ওয়েবসাইট এর প্রকারভেদ:

    গঠন বৈচিত্র্যের উপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইটকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

  • স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট (static website)
  • ডাইনামিক ওয়েবসাইট (Dynamic website)
  • স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট:

    যেসকল ওয়েবসাইটের ডেটার মান ওয়েব টেকনোলজি লোডিং বা ওয়েব পেইজ চালু করার সময় পরিবর্তন করা যায় না তাকে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বলে।

    স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট এর বৈশিষ্ট্যসমূহ-
  • স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের পেইজগুলিতে কন্টেন্ট নির্দিষ্ট থাকে।
  • এই ধরনের ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর ব্রাউজারে খুব দ্রুত লোড হয়।
  • স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট এ সাধারণত কোন ডেটাবেস সংযোগ থাকে না।
  • স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট এ কেবলমাত্র একমুখী কমিউনিকেশন হয় (সার্ভার টু ক্লায়েন্ট)।
  • এই ধরনের ওয়েবসাইট উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ খুব সহজ।
  • এই ধরনের ওয়েবসাইট উন্নয়নে html বা css ব্যবহৃত হয়।
  • স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট এর সুবিধা সমূহ:
  • এই ধরনের ওয়েবসাইট খুব সহজে উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
  • অতি দ্রুত ও দক্ষতার সহিত কটেন্ট সরবরাহ করা যায়।
  • ডেটাবেজ ব্যবহার না করার ফলে সর্বাধিক নিরাপত্তা সহিত তথ্য সরবরাহ করা যায়।
  • ব্যবহারকারীর ব্রাউজারে খুব দ্রুত লোড হয়।
  • খুব সহজেই সার্চইঞ্জিন পরিচালনা করা যায়।
  • সহজেই ওয়েব পেজের লে-আউট পরিবর্তন করা যায়।
  • খুব দ্রুততার সাথে এইসব ওয়েবসাইট থেকে খুব কম স্পিডে নেট স্পিডেও ডেটা ডাউনলোড করা যায়।
  • স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট উন্নয়নে তুলনামূলক খরচ কম হয়।
  • স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের অসুবিধা সমূহ:
  • কন্টেন্ট আপডেট করতে প্রচুর সময় লাগে।
  • ওয়েবসাইটের আকার বৃদ্ধি পেলে কন্টেন্ট সহজে নিয়ন্ত্রয় করা যায় না।
  • মানসম্মত ওয়েব পেইজ ডিজাইনিং অত্যন্ত কষ্টসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ।

  •  ডাইনামিক ওয়েবসাইট:

    যেসকল ওয়েবসাইটের ডেটা মানব টেকনোলজি লোডিং বা ওয়েবসাইট চালু করার সময় পরিবর্তন করা যায় তাকে ডায়নামিক ওয়েবসাইট বলে।

    ডায়নামিক ওয়েবসাইট এর বৈশিষ্ট্য সমূহ-
  • এই ধরনের ওয়েবসাইটে পরিবর্তনশীল তথ্য ও ইন্টারেক্টিভ ওয়েবপেইজ থাকে।
  • রান টাইমের সময় পেইজের ডিজাইন ও কটেন্ট পরিবর্তন হতে পারে।
  • ডাইনামিক ওয়েবসাইট উন্নয়নে ডেটাবেজ ব্যবহৃত হয় এবং ডেটাবেজে কুয়েরির মাধ্যমে বিভিন্ন পরিবর্তনশীল কনটেন্ট তৈরি করতে পারে।
  • ডায়নামিক ওয়েবসাইট খুব ঘন ঘন পেইজের ভ্যালু বা কন্টেন্ট পরিবর্তন করতে পারে এবং ব্যবহারকারীদের নিকট হতে ইনপুট গ্রহণ করতে পারে।
  • এই ধরনের ওয়েবসাইট উন্নয়নে পিএইচপি, জাভা, পাইথন, রুবি ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
  • ডায়নামিক ওয়েবসাইট এর সুবিধা সমূহ:
  • ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী পেইজ এর কন্টেন্ট পরিবর্তন হতে পারে।
  • তথ্য বা বিষয়বস্তুর আপডেট খুব দ্রুত করা যায়।
  • নির্ধারিত ব্যবহারকারীদের জন্য নির্ধারিত পেইজ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা যায়।
  • ব্যবহারকারীদের নিকট হতে ইনপুট নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
  • অনেক বেশি তথ্যবহুল হতে পারে।
  • আকর্ষণীয় এবং ইন্টারেক্টিভ লে-আউট তৈরি করা যায়।
  • ডাইনামিক ওয়েবসাইটের অসুবিধা সমূহ:
  • ডেটাবেজ এবং বিভিন্ন গ্রাফিক্স উপাদান যোগ করার ফলে ব্যবহারকারীর ব্রাউজারে লোড হতে বেশি সময় নেয়।
  • এই ধরনের ওয়েবসাইট উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ তুলনামূলক জটিল।
  • ডাইনামিক ওয়েবসাইট উন্নয়নে খরচ বেশি হয়।

  •  ওয়েবসাইটের কাঠামো:
  • ট্রি বা হায়ারারকিক্যাল
  • ওয়েব লিংকড বা নেটওয়ার্ক
  • সিকুয়েন্স বা লিনিয়ার
  • হাইব্রিড বা কম্বিনেশন
  • এইচটিএমএল এর মৌলিক বিষয়সমূহ:
  • Hypertext Markup Language এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল html যা World Wide Web (www) ব্রাউজার এ তথ্য প্রদর্শন বা ওয়েবপেইজে তথ্য উপস্থাপন ও ফরম্যাট করতে প্রোগ্রামারগণ ব্যবহার করেন।
  • সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত CERN এ কাজ করার সময় টিম বার্নার্স-লি (Tim Berners-Lee) ১৯৯০ সালে সর্বপ্রথম এইচটিএমএল আবিষ্কার করেন
  • এইচটিএমএল ফাইলের এক্সটেনশন হলো. html বা .htm
  • এইচটিএমএল ফাইল এডিট করার জন্য যেকোনো একটি টেক্সট এডিটর ব্যবহার করলেই চলবে, যেমন: নোটপ্যাড, নোটপ্যাড++, সাবলাইম টেক্সট ইত্যাদি।
  •  এইচটিএমএল এর ধারণা:

    এইচটিএমএলে তৈরি কোন ওয়েব পেইজে সাধারণত দুটি প্রধান অংশ থাকে। যথা:
    Head অংশ: এই অংশের টাইটেল বা শিরোনাম, ধরন, সার্চ ইঞ্জিনের জন্য কী-ওয়ার্ড ও প্রয়োজনীয় কোড বা ওয়েবপেইজে তথ্য প্রদর্শনের জন্য দরকার তা থাকে।
    Body অংশ: এটি ডকুমেন্টের মূল অংশ যাতে তথ্য প্রদর্শন করা হয়।

     এইচটিএমএল এর সুবিধা সমূহ হলো:
  • এইচটিএমএল(html) এর সাহায্যে ওয়েবপেজের টেমপ্লেট গঠন করা যায়।
  • ওয়েব ফর্ম ডিজাইন করা যায়।
  • থার্ড পার্টি এপ্লিকেশন ব্যবহার ছাড়াই ওয়েবে ভিডিও এবং অডিও যুক্ত করা যায়।
  • ক্যানভাস পিকচারের সাহায্যে আকর্ষণীয় টু ডাইমেনশনাল ড্রইং তৈরি করা যায়।
  • জিও লোকেশন ব্যবহার করে ভিজিটররা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তাদের অবস্থান শেয়ার করতে পারে।
  • ড্রাগ এন্ড ড্রপ এর সাহায্যে কোন পেইজের বিভিন্ন উপাদানকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থাপন করা যায়।
  • পরবর্তী প্রজন্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের জন্য এইচটিএমএল এর ওয়েব সকেট বাডিরেকশনাল কমিউনিকেশন টেকনোলজি হিসেবে আচরণ করে।
  • বিভিন্ন ধরনের ফরমেটিং করা যায়।




  •  বডি সেকশনের ট্যাগ পরিচিতি:



  • Post a Comment

    Previous Post Next Post
    Loading comments...